মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে। জোড়ার দুটি ফুল দুই বৃন্তে লুকিয়ে থাকে। কেউ কারও খোঁজ পায় না। ইসলামের নীতি অনুযায়ী বিয়ের পরপরই কেবল এই জোড়া পরস্পরের সাথে পরিচিত হয় এবং একসঙ্গে বসবাসের অনুমতি লাভ করে। জোড়ার একজন স্বামী, আরেকজন স্ত্রী। এই মহান ও পবিত্র সম্পর্ক এমন এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে পরিণত হয় যে একজন অন্যজনের বিচ্ছেদ-বিরহ ক্ষণিকের জন্যও বরদাশত করতে পারে না। বিয়ের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূত্রপাত, সে সম্পর্ক কিন্তু নির্ধারিত কোনো কামনা-বাসনায় সীমাবদ্ধ থাকে না। জীবনের পরতে পরতে এর ধরণ ও রূপ পাল্টায়।
সন্তান আসার পূর্ব পর্যন্ত সময়টা ‘বোঝাপড়ার সময়’ (Understanding Period)। সাদা কাফনে জড়ানোর পূর্ব সময় পর্যন্ত একসাথে কাটাতে যে মধুর বোঝাপড়া, মায়া-মুহাব্বত ও সাহায্য-সহযোগিতার মন-মানসিকতা দরকার, তা এই সময়ে সৃষ্টি হয়। জীবন যুদ্ধের নানান পরিকল্পনা, কৌশল নির্ধারণে এ সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা ডায়ালগ হবে। ইসলাম যেহেতু পরিকল্পিত ও মার্জিত জীবনাচার শিক্ষা দেয়, সেহেতু এই সময়ে একটি আদর্শ দম্পতি সারা জীবনের জন্য কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করে। যাকে ‘স্বামী-স্ত্রীর শপথ’ বলা আমরা আমৃত্যু একসঙ্গে থাকব। বিয়ে পূর্ববর্তী জীবনের অফুরন্ত চাওয়- পাওয়ার অবসান ঘটিয়ে হিয়া মন অন্তরাত্মা একটা পাত্রে কেন্দ্রীভূত করলাম।
ঝগড়া হওয়া স্বাভাবিক, না হওয়াটা অস্বাভাবিক। কিন্তু সে ঝগড়া, কথা-কাটাকাটি কখনও আমাদের সম্পর্ক চূড়ান্ত নেগেটিভ পরিণতির দিকে যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা কেউ কখনও সীমা ছাড়িয়ে যাব না।
চূড়ান্ত বাজে পরিস্থিতিতেও স্বামী হিসেবে আমি স্ত্রীর গায়ে হাত তুলব না। স্ত্রী'র গায়ে হাত তোলা একধরণের কাপুরষতা, হীনতা ও নিচুতা বলে বিবেচনা করব। স্ত্রী হিসেবে আমি কখনোই এমন পরিস্থিতি তৈরি করব না, যেখানে স্বামী নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে। আমরা উভয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরব।
কোনোভাবেই আত্মহত্যার ঘৃণ্য পথ বেছে নিব না। আমরা উভয়ে ‘আত্মহত্যা’ শব্দকে হৃদয় জমিন থেকে চিরদিনের জন্য উচ্ছেদ করে দিলাম।
পেছনে ঘটে যাওয়া ঝগড়াঝাটি নিয়ে অভিমান-অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলোচনা করব। একজনের ভুল অন্যজন ভালোবাসার মন নিয়ে ধরিয়ে দেবো।
হাজারো ঝগড়াঝাটির পরেও নিজেদের থাকার ঘর-রুম পৃথক করব না।
হাজার ঝগড়াঝাটির পরেও (সুযোগ থাকতে) নিজেদের খাবার আলাদা করবো না। ১০০% প্রচেষ্টা রাখব একত্রে বসে খাওয়ার।
ঝগড়া-মনোমালিন্য হলে সর্বোচ্চ২-৩ ঘন্টার অধিক কথা বন্ধ রাখব না। ইসলামের শিক্ষার আলোকে আগে কথা বলার জন্য প্রতিযোগীতা করব।
আমরা কেউ অযাচিত, অন্যায় ও সাধ্যাতীত কোনো আবদার-বায়না করব না। আবার স্বাদ ও সাধ্যের মধ্যে হলে সে বায়না পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
সর্বদা ত্যাগী মনোভাব পেশ করব। নিজের মত ও জেদ প্রতিষ্ঠার জন্য বাড়াবাড়ি করব না। বাপ-মা, শশুর-শাশুড়ী, গোষ্ঠী, এলাকা এবং স্পর্শকাতর কোনো কিছু উল্লেখ করে কথা বলব না।
ভুল-ত্রুটি ও ঝগড়াঝাটি হলে দিনেরটা দিনেই শেষ করব। সম্পর্ক আগের মতো স্বাভাবিক, মধুর ও প্রীতিময় করতে যা যা করা দরকার, তা তা করব। প্রয়োজনে মাফ চেয়ে নিব।
মুশফিকুর রহমান হাসান
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০২:৫১ পূর্বাহ্নঅনেক ভালো লাগলো,,, আশাকরি আরোভালো কিছু লেখা আসবে ,, জাজাকাল্লা,,
মঈনুল ইসলাম
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ১১:০৮ পূর্বাহ্নযাযাকাল্লাহ, বেশ ভাল লেগেছে।
ওসমান গাণী
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ১২:৫২ অপরাহ্নজাজাক-আল্লাহ খুব ভালো লেগেছে
Monoar Hosain
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০১:৫৯ পূর্বাহ্নজাজাকাল্লাহ। অনেক ভালো লেগেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ১৪:৫০ অপরাহ্নলেখাটি খুব ভালো লাগলো
Abdullah
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ - ০৬:২৫ পূর্বাহ্নVery Nice